দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম । দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের ওয়ার্ড ফাইল

আপনি যদি দোকান ভাড়া নেয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন বা আপনার দোকান ঘর ভাড়া দেয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে জানা উচিৎ । কারন এই চুক্তি মধ্যে দোকান ঘরের মালিক ও ভাড়াটিয়া একটি শর্তে র মধ্যে থাকেন । যার ফলে কোন রকম ঝামেলা থাকে না। দুই পক্ষে সম্মতিতে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখা হয় । হাতে লেখা কিংবা কম্পিউটার টাইপ করে দোকান ভাড়া চুক্তি পত্র লেখা হয় ।

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র

নতুন দোকান বা অফিস ভাড়া দেওয়া কিংবা নেওয়ার সময় একটি দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র করা অত্যাবশ্যক। এর ফলে ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ সৎ থাকতে পারবে । সাধারণত এই চুক্তিপত্র উভয় পক্ষের সম্মতিতে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত অনুযায়ী তৈরি করা হয় এবং এতে তিনজন সাক্ষীর স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক। চুক্তিপত্রটি ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে (১০০ টাকা করে তিনটি) তে লিখে হবে। যদি চুক্তিপত্র তিন পৃষ্ঠার বেশি হয় তবে অতিরিক্ত অংশ কার্টিজ কাগজে সংযুক্ত করা যেতে পারে।

চুক্তিপত্রের মূল কপি ভাড়াটিয়ার কাছে সংরক্ষিত থাকবে এবং মালিকপক্ষ তার ফটোকপি রাখবে। তবে চাইলে উভয় পক্ষের জন্য দুটি মূল কপি করতে পারেন। অত্র চুক্তিনামায় তফসিলসহ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। চুক্তিপত্রটি হাতে লেখা নাকি কম্পিউটার টাইপকৃত, মোট কত পৃষ্ঠায় প্রস্তুত, কতজন সাক্ষী স্বাক্ষর করেছেন এবং মূল কপিগুলো কার কাছে থাকবে তা ভালোভাবে বিবেচনা করে নিবেন।

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের ওয়ার্ড ফাইল

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র

অফিস/দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র

দোকান মালিকের নাম, পিতার নাম:…………………, মাতার নাম:………………. সাং- ………………………………………………….। পেশা: ব্যবসা, ধর্ম: ইসলাম/হিন্দু, জাতীয়তা: বাংলাদেশী। জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ……………………..।
————প্রথম পক্ষ/মালিক

ভাড়াটিয়ার নাম, অথবা কোম্পানী এর পক্ষে চেয়ারম্যান- ………………., পিতা- ……………………….., সাং- ……………………….., পেশা: ব্যবসা, ধর্ম: ইসলাম, জাতীয়তা: বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ………..।

———দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া

পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার নাম স্বরন করিয়া একখানা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখা আরম্ভ করিতেছি যে, আমি ১ম পক্ষ আমার মালিকানাধীন গৌরীচন্না বাজারে একখানা দোকান ঘর ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব রাখিলে আপনি ২য় পক্ষ তা জানিতে পারিয়া উক্ত দোকান ঘরটি ভাড়া নিতে ইচ্ছে পোষন করিলে নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে উক্ত দোকান ঘরটি ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

চলমান পাতা – ২

-শর্তাবলী সমূহ –

১ ।  উক্ত চুক্তিপত্র অদ্য বাংলা ১লা বৈশাখ ১৪৩১ থেকে  আগামী ১লা বৈশাখ ১৪৩৪  পর্যন্ত মোট- ০৩ ( তিন)  বছর বলবৎ থাকবে।

২। উক্ত দোকান ঘরটির বাৎসরিক ভাড়া ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা নির্ধারিত হয় । তিন বছর ভাড়া এককালীন ৭৫,০০০ ( পঁচাত্তর হাজার)  টাকা আগ্রিম পরিশোধ করা  হয়েছে  ।  

৩। দোকান ভাড়া নেওয়ার ০১ (এক) বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে দোকান ছাড়ার কোন ধরনের নোটিশ প্রধান করিতে পারিবে না ।  এবং এই ০১ (এক) বছরে কোন ভাড়া বারানো যাবে না।

৪। কোন পক্ষ যদি উপরোক্ত শর্ত সমূহ ভঙ্গ করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাতে শর্ত ভঙ্গকারি পক্ষের কোন প্রকার ওজর আপত্তি থাকিবে না।

চলমান পাতা – ৩

অতএব, আমরা সেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুহা মস্তিষ্কে, স্বাধীন চিত্বে এবং অন্যের বিনা প্ররোচনায় আর দোকান ঘর ভাড়া চুক্তিনামা দলিল পাঠ করিয়া ইহার কম্পোজকৃত শর্তাবলি ভালোভাবে অবগত হইয়া, স্বাক্ষীগণের সম্মুক্ষে উক্ত চুক্তিনামা দলিল স্বাক্ষর করিলাম।

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর                                                                    ১ম পক্ষের স্বাক্ষর                 

১।                                                                                     

২।                                                                                      ২য় পক্ষের স্বাক্ষর               

৩।                                                                                       

উপরের বিভিন্ন স্থানে আপনাদের তথ্য বসিয়ে নিবেন ।

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের ওয়ার্ড ফাইল ১ পেইজ

অনেক সময় শুধু রেফ পেপারে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখা হয়। সেখানে আপনি চাইলে নিচে দেয়া ১ পেইজের দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র টি অনুসরন করতে পারেন ।

Leave a Comment