শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র হলো এমন একটি আনুষ্ঠানিক দলিল যা কোনো ব্যক্তি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেছেন বা কোনো নির্দিষ্ট কোর্স সম্পূর্ণ করেছেন, সেটির প্রমান পত্র। এটি একটি ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা বা কোনো নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের ক্ষমতার সত্যতা প্রমাণ করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন লেখার নিয়মটা কিছুটা আলাদা । আপনাকে অবশ্যই প্রত্যায়নে স্কুলের নামা উপরে দিয়ে নিতে হবে। তা না হলে প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর দিতে নাও চাইতে পারেন। তাই যে স্কুলের প্রত্যয়ন লিখবেন অবশ্যই ওই স্কুল নিয়ে ভালো ভাবে তথ্য জেনে নিবেন ।
প্রত্যয়ন পত্র লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: শিক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, জন্ম তারিখ, কোর্সের নাম, সমাপ্তির তারিখ, প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ইত্যাদি সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।স্পষ্ট ভাষা: সহজ এবং স্পষ্ট ভাষায় প্রত্যয়ন পত্র লিখতে হবে। কোনো ধরনের অস্পষ্টতা থাকবে না।
প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফরম্যাট: প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রত্যয়ন পত্রের ফরম্যাট থাকতে পারে। সেই ফরম্যাট অনুসরণ করা উচিত।
স্বাক্ষর ও সীল: প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সীল অবশ্যই থাকতে হবে।
প্রত্যয়ন পত্রের সাধারণ ফরম্যাট
[শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লোগো]
[শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম]
[ঠিকানা]
[তারিখ]
প্রত্যয়ন পত্র
এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, ………………………….., পিতা- …………………………., মাতা- ……………………., গ্রাম: …………………, ওয়ার্ড নং- ০…, ডাকঘর: ……………….., উপজেলা: ………………………, জেলা: ………………। সে অত্র বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি (কারিগারি শাখা) পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার রোল নম্বর : ………….রেজিঃ নম্বর: ……………….শিক্ষাবর্ষ : ২০২১-২০২২। তার জন্ম তারিখ ………………….. খ্রিঃ। আমার জানামতে অধ্যয়নকালীন তার চরিত্র ভালো ছিল এবং রাষ্ট্র বা সমাজ বিরোধী কোনো কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল না।
আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি ।
[প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদবি]
[স্বাক্ষর]
[সীল]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্রের ব্যবহার
- চাকরি: চাকরির জন্য আবেদন করার সময়, নিয়োগকর্তারা সাধারণত শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে প্রত্যয়ন পত্র চায়।
- উচ্চ শিক্ষা: উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করার সময়ও প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন হয়।
- ভিসা: বিদেশে পড়াশোনা বা কাজ করার জন্য ভিসা আবেদনের সময় প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হয়।
- আইনি কাজ: কোনো আইনি কাজে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহার করা হয়।
প্রত্যয়ন পত্রে সাধারণত থাকে:
- শিক্ষার্থীর নাম
- রোল নম্বর
- জন্ম তারিখ
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- অধ্যয়নকাল
- অর্জিত ডিগ্রি
- প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা
- প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর
- প্রতিষ্ঠানের সিল