বাংলাদেশে গাড়ি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে লিখিত গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র বা (Car Sale Agreement) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় দেখা যায় মৌখিকভাবে গাড়ি বিক্রয় করা হলে পরবর্তীতে নানা জটিলতা তৈরি হয়। তাই একটি বৈধ ও সঠিকভাবে তৈরি করা চুক্তিপত্র উভয় পক্ষের (ক্রেতা ও বিক্রেতা) জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম
চুক্তিপত্রের শিরোনামে সর্বপ্রথম লিখতে হবে “গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র”।এরপর লিখতে হবে প্রথম পক্ষঃ – এখানে গাড়ির বিক্রেতার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হবে, যেমনঃ নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, পেশা, ভোটার আইডি নম্বর ও মোবাইল নম্বর।
এই তথ্য শেষে উল্লেখ করতে হবে “প্রথম পক্ষ/গাড়ির মালিক (বিক্রেতা)”।
এরপর লিখতে হবে দ্বিতীয় পক্ষঃ – এখানে গাড়ির ক্রেতার তথ্য দিতে হবে। যেমনঃ নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, পেশা, ভোটার আইডি নম্বর ও মোবাইল নম্বর।
এই তথ্য শেষে লিখতে হবে “দ্বিতীয় পক্ষ/গাড়ির ক্রেতা”।
প্রথম পাতায় গাড়ির তথ্য প্রদানের জন্য ডটেড লাইন ব্যবহার করতে হবে, যেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমনঃ নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, পেশা, ভোটার আইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার ও গাড়ির বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
এরপর পৃষ্ঠার নিচে উল্লেখ করতে হবে “চলমান পাতা ০২”। এটি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হলো—চুক্তিপত্রটি এখানেই শেষ নয়, বরং এর পরের অংশটি পরবর্তী পাতায় থাকবে।
পরবর্তী পাতার শুরুতে উপরে লিখতে হবে “পাতা নং-০২”।
তারপর নিচের লাইনেই লিখতে হবে—
“উক্ত গাড়িটি বিক্রয়ের প্রস্তাব করলে দ্বিতীয় পক্ষ নিম্নোক্ত শর্তাবলীর ভিত্তিতে ক্রয় করতে সম্মত হয়। অতএব উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে গাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য নির্ধারণপূর্বক বিক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।”
শর্তাবলী
১। গাড়ির বর্তমান বাজার মূল্যের ভিত্তিতে উক্ত গাড়ির মোট মূল্য ধরা হলো -……………………/- (…………………..) টাকা মাত্র।
২। দ্বিতীয় পক্ষ (ক্রেতা) উক্ত গাড়ি ক্রয়ের বাবদ নগদ -……………………/- (…………………..) টাকা পরিশোধ করিয়া গাড়িটি যথাযথভাবে বুঝিয়া গ্রহণ করিলেন।
৩। অদ্য ……………….. তারিখ হইতে উক্ত গাড়ির যাবতীয় দায়-দায়িত্ব, কর, কাগজপত্র সংক্রান্ত কার্যাদি এবং আইনগত বিষয়াবলি দ্বিতীয় পক্ষ (ক্রেতা) বহন করিবেন।
৪। নাম পরিবর্তনের সময় অবশিষ্ট -……………………/- (…………………..) টাকা দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে পরিশোধ করিবেন। প্রথম পক্ষ বাধ্য থাকিবেন নাম পরিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করিতে। যদি প্রথম পক্ষ নাম পরিবর্তনে ব্যর্থ হন তবে তিনি প্রদত্ত সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবেন এবং দ্বিতীয় পক্ষও গাড়িটি প্রথম পক্ষকে ফেরত প্রদান করিবেন।
চলমান পাতা-০৩
এতদ্বার্থে আমরা উভয় পক্ষ অত্র দলিলটি সুস্থ মস্তিষ্কে, স্বজ্ঞানে ও স্বেচ্ছায় পাঠ করিয়া এবং যথাযথভাবে বুঝিয়া স্বাক্ষীগণের সম্মুখে নিজ নিজ নামে সহি ও স্বাক্ষর করিলাম।
গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র ১ পেইজ ওয়ার্ড ফাইল
গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র ১ পেইজেও লেখা যায়। আপনি চাইলে আমাকে দেয়া গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র ১ পেইজ টা সংগ্রহ করে নিজের মত করে নিতে পারবেন ।

গাড়ির বিক্রয় পত্র
দাতা: ………….. , পিতাঃ ……………, ইউনিয়নঃ …………ইউনিয়ন, গ্রাম:- ……………., ওয়ার্ডঃ ………., পো:- ……………, থানা ও জেলা …………….. । পেশাঃ গাড়ির চালক, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয় পত্র নং –…………………….., মোবাইল ………………….
গ্রহিতা: ………….. , পিতাঃ ……………, ইউনিয়নঃ …………ইউনিয়ন, গ্রাম:- ……………., ওয়ার্ডঃ ………., পো:- ……………, থানা ও জেলা …………….. । পেশাঃ গাড়ির চালক, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয় পত্র নং –…………………….., মোবাইল ………………….
পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার নামে অতুল গাড়ি বিক্রয়পত্র লেখা শুরু করিলাম। মোঃ হানিফ নানা কারন বশত নগদ টাকার প্রয়োজন হলে অতুল গাড়ি বিক্রির প্রস্তাব দিলে গ্রহিতা মোঃ রবিউল আউয়াল বলে আমার একটি অতুল গাড়ি লাগবে। কিছুক্ষণ আলোচনার পর অতুল গাড়ি বিক্রয় করে ৫৩,৫০০/- (তিপান্ন হাজার পাঁচ শত ) টাকা দাতা নেয় অতুল গাড়ি বিক্রয় বাবদ এবং আরোও উল্লেখ্য থাকে যে, আর কোন দিন দাতা মোঃ হানিফ বা তার কোন ওয়ারিশ এই গাড়ি বিক্রয় দাবী করিতে পারিবে না বা করিলে তাহলে বাংলাদেশ সরকারের প্রচলিত আইনে ঠেকা থাকিবে। সব সবকিছু মেনে দাতা সমস্ত ৫৩,৫০০/- (তিপান্ন হাজার পাঁচ শত ) টাকা গ্রহন করিল গাড়ি বিক্রয় বাবদ। এমতাবস্থায় ১ম ও ২য় পক্ষের সমন্বয়ে গাড়ি বিক্রয় বিক্রয়পত্র সম্পন্ন করা হইল।
গাড়ির বর্ণনাঃ
১ । গাড়ির গায়ের রং কাল ।
২। চেচিস নম্বরঃ MCG00AMC4D1509180
৩। প্রস্তুতকারকঃ .
এতদার্থে সুস্থ শরীরে সরল মনে অত্র দলিলের মমার্থ বুঝিয়া শুনিয়া ভাবিয়া নিজ হতে স্বাক্ষীগনের মোকাবিলায় স্বাক্ষর করিলাম।
গ্রহিতা ………………………………… |
স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষরঃ
১।
২।
৩।
দাতা ………………………………… |
গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র ৩ পেইজ
আপনি যদি স্ট্যাম্পে লেখান তাহলে আপনাকে ৩ পেইজের চুক্তি পত্র লিখতে হবে। ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে। এজন্য ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্প পেপার কিনে ৩ পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করতে হবে।
পেজ মার্জিন সেটআপ এর ক্ষেত্রে
- উপরের দিকে ফাঁকা রাখতে হবে ৪.৫ ইঞ্চি।
- নিচের দিকে ফাঁকা রাখতে হবে ১.৫ ইঞ্চি।
- ডান ও বাম পাশে ফাঁকা রাখতে হবে ১ ইঞ্চি করে।
এই চুক্তিপত্র মূলত গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র (Bike/Car Deed) হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। তবে আপনি যদি মোটরসাইকেল বিক্রয়ের জন্য ব্যবহার করতে চান, তাহলে শুধু “গাড়ি” শব্দটি পরিবর্তন করে “মোটরসাইকেল” লিখলেই যথেষ্ট। এছাড়া মোটরসাইকেলের প্রাসঙ্গিক তথ্য যুক্ত করলেই এটি বৈধ চুক্তি হিসেবে ব্যবহারযোগ্য হবে।
